শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের ক্রামাতোরস্ক রেলস্টেশনে রকেট হামলায় ৩০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। এতে ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে জানায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় রেল কোম্পানি। খবর বিবিসি।
বেসামরিক নাগরিকরা যখন দেশের নিরাপদ অঞ্চলগুলোতে যাওয়ার জন্য ট্রেনে উঠছিল তখন রকেট হামলা হয় বলে জানায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত রেল কোম্পানি।
পূর্ব ইউক্রেনের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল ক্রামাতোরস্ক। ইউক্রেনের রেল সংস্থার প্রধান জানান, এতে দুটি রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। ক্রামাতোরস্কের মেয়র জানান, রকেট হামলার সময় রেল স্টেশনে ৪ হাজার যাত্রী ছিল। যার বেশিরভাগই বয়স্ক, নারী ও শিশু।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, “যুদ্ধের ময়দানে আমাদের সামনে দাঁড়ানোর হিম্মত ও সাহস না থাকায় তারা (রুশ বাহিনী) এখন নিষ্ঠুরভাবে বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে গুড়িয়ে দিচ্ছে। এই শয়তান এমন যার সীমা পরিসীমা নেই, শাস্তি না হলে এ থামবে না।”
ওদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দোনেৎস্কের ওই রেল স্টেশনে হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, এটি একটি উস্কানি এবং পুরোপুরি অসত্য। ইউক্রেইনের অন্যান্য জায়গাতেও ইদানিংকালে রাশিয়ার হামলা এবং নৃশংসতার অভিযোগও রাশিয়া একইভাবে অস্বীকার করেছে।
ক্রামাতোরস্কে রেল স্টেশনে হামলায় রাশিয়া ইস্কান্দার বা টোচকা-ইউ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে দাবি কিইভের। অন্যদিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা যেসব ছবি দিয়েছেন, তাতে হামলায় টোচকা-ইউ ক্ষেপণাস্ত্রই ব্যবহার হয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে; ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘কেবল ইউক্রেইনের বাহিনীই’ ব্যবহার করে।
একই ধরনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র গত ১৪ মার্চ দোনেৎস্ক শহরে আঘাত হানে বলেও রুশ সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। মার্চের ওই হামলা ইউক্রেইনই করেছিল বলে দাবি মস্কোর; সেদিনের হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়েছিল বলেও জানিয়েছিল তারা।